Top খবর

প্রতিবাদের নামে তাণ্ডব,থানা ভাঙচুর ,স্তব্ধ জনজীবন

প্রতিবাদের নামে কার্যত তাণ্ডব চলল হাওড়া জেলায়। বৃহস্পতিবার হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল,শুক্রবার তা অব্যাহত থাকে। বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার ইসলামবিরোধী মন্তব্যের বিরোধিতা করে, তাঁর শাস্তির দাবিতে এই বিক্ষোভ চলছে। এদিন বিক্ষোভকারীরা পুলিসের কিয়স্ক, থানা ভাঙচুর থেকে শুরু করে গাড়ি, বাইক জ্বালিয়ে দেয় নির্বিচারে। রেল অবরোধের জেরে নাকাল হতে হয় হাজার হাজার যাত্রীকে। স্তব্ধ হয়ে যায় স্বাভাবিক জনজীবন।

বিক্ষোভকারীদের সামলাতে নাকানিচোবানি খায় পুলিস।১৩ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত গোটা হাওড়া জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে। ভয়েস কল বা এসএমএস পরিষেবা চালু থাকবে।

 

এদিন সকালে উলুবেড়িয়ার ফকিরপাড়ায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে কুলগাছিয়ার পীরতলায় অবরোধ শুরু হয়ে যায়। সেখানে পুলিসকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি ও ব্যাপক বোমাবাজি হয়। পুলিস পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। নিমদীঘি মোড়েও বিক্ষোভ শুরু হয়। সেখান থেকে পুলিস বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিলে নরেন্দ্র মোড় অবরোধ করা হয়। ঘণ্টা দেড়েক চলে সেই অবরোধ।

 

পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে পুলিস ও র‌্যাফ। পুলিসের কিয়স্ক থেকে স্থানীয় কাউন্সিলার ইনামুর রহমান বিক্ষোভকারীদের শান্ত হওয়ার আবেদন জানান। তাতে কাজ হয়নি।পুলিসকে তাড়া করে বিক্ষোভকারীরা। প্রাণ বাঁচাতে একটি দোকানে ঢুকে পড়েন পুলিসকর্মীরা।

 

ডোমজুড় থানায় বিক্ষোভকারীদের হামলায় প্রায় ১২ জন পুলিসকর্মী জখম হন। এই ইস্যুতে উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায়ওবিক্ষোভ, অবরোধ চলে। কলকাতার পার্ক সার্কাসে বিক্ষোভ চলে বিকেল ৩টে থেকে ঘণ্টাখানেক। অবরুদ্ধ হয় পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট। এদিকে, বৃহস্পতিবার হাওড়ার ডোমজুড়ে প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।

You may also like

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *