বাড়িতে বসেই সরকারের থেকে পেয়ে যান ১০,০০০ টাকা

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা প্রচলিত বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে একটি হল কৃষকবন্ধু প্রকল্প। উক্ত প্রকল্পের আওতায় মুখ্যমন্ত্রী অনুদান বাবদ হিসেবে পূর্বের তুলনায় টাকা দ্বিগুণ হারে বাড়িয়ে তা ১০০০০ টাকা করেছেন। তথ্য সূত্র মোতাবেক গোটা রাজ্যের প্রায় 50 শতাংশ কৃষক বর্তমানে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।  যারা এখনো এই প্রকল্পে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করে উঠতে পারেননি, অথবা অনেকে কৃষকবন্ধু এমনও আছেন যারা প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপের অপেক্ষায় রয়েছেন।
তবে এইবার কৃষক বন্ধুদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার সহজ পদ্ধতি অর্থাৎ অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন পদ্ধতিপ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।

 

চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে অনলাইনেই মাধ্যমে কৃষকরা এই ফর্ম ফিলাপ করতে পারবেন।
• অনলাইন আবেদন পদ্ধতি (Online Apply Proses) –

 

১) এই প্রকল্পের ফর্মটি পূরণ করার জন্য কৃষক বন্ধুদের অনলাইনে নির্দিষ্ট অফিসিয়াল ওয়েবসাইট যথা https://krishakbandhu.net/–এ লগ ইন করতে হবে।

 

২) হোম পেজ আসার পর আপনাকে ‘কৃষি বিভাগ’ – এ ক্লিক করতে হবে।

 

৩) এর পরে নতুন আবেদনের জন্য ‘কৃষক বন্ধু সাইন আপ’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।

 

৪) এবং এরপর নিবন্ধকরণ ফর্মটি প্রদর্শিত হবে।

 

৫) তারপর আবেদনকারী নিজের প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য পূরণ করতে হবে এবং তার পরে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন আবেদন জমা দেওয়ার জন্য।
আবেদন ফর্মটি পূরণ করার পরে, আবেদনকারীর নিজের নাম এবং পাসওয়ার্ড পাবেন, যার সাহায্যে তারা এই প্রকল্পের জন্য সহজেই লগ ইন করতে পারবেন।

 

•এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি (Important Document) –

 

১/ আবেদনকারীদের তাদের নির্দিষ্ট স্থায়ী বাসস্থানের নথি জমা দিতে হবে।

 

২/ এই প্রকল্পটি যেহেতু কৃষকদের উন্নতির লক্ষ্যে করা হয়েছে, তাই নিবন্ধকরণের জন্য তাঁদের কর্ম সংক্রান্ত নথি দাখিল করতে হবে।

 

৩/ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যে ১৮-৬০ বছর বয়সের মধ্যে সকল আবেদনকারী এই বীমার সুবিধা পাবেন। তাই তাঁদের বয়সের সঠিক প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।

 

৪/ আবেদনকারীদের পরিচয় পত্রের প্রমাণ স্বরূপ তাদের ভোটার অথবা আধার কার্ডের জেরক্স কপি দিতে হবে।

 

৫/ সমস্ত আর্থিক স্থানান্তর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে হবে। ফলে আবেদনকারীদের অবশ্যই তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত নথি জমা দিতে হবে।

 

• উক্ত প্রকল্পের সুবিধা (Benefit of the scheme)-

 

১/ উক্ত প্রকল্প অনুযায়ী প্রতিটি আবেদনকারীকে প্রায় ২,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত জীবন বীমা (Life Cover Insurance) প্রদান করা হবে।

 

২/ প্রকল্পটি চলাকালীন সময়কালে দুর্ঘটনাক্রমে কোন কৃষকের মৃত্যু হলে তার পরিবারকে পূর্ণ বীমার টাকা প্রদান করা হবে।

 

৩/ ক্রপ কভার ইন্সিওরেন্স অর্থাৎ ফসলের বীমার টাকা দুটি কিস্তিতে আবেদনকারীকে দেওয়া হবে।

 

৪/ কৃষকের মৃত্যুর মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই বীমার সমস্ত টাকা কৃষকের পরিবারকে প্রদান করা হবে।

 

৫/ ফসল বীমার জন্য প্রিমিয়ামও রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের আওতায় থাকা সকল কৃষককে প্রদান করবে।

 

৬/ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো পূর্বের বছরগুলিতে কৃষকরা বছরে ৫ হাজার টাকা করে এই প্রকল্প থেকে অনুদান পেতেন। তবে এইবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসে তা দ্বিগুণ হারে বাড়িয়ে তা ১০ হাজার টাকা করেছেন। যাদের জমি ১ একরের কম রয়েছে তারাও এই প্রকল্পে এই বছর থেকে ২ হাজার টাকার পরিবর্তে ৪ হাজার টাকা করে পাবেন বলে জানিয়েছেন।

 

• অতিরিক্ত তথ্যের/সহায়তার জন্য আগ্রহী সকল আবেদনকারী সকাল ১০ টা থেকে ৬ টা-র মধ্যে হেল্পলাইন নম্বর ৬২৯১৭২০৪০৬ –এ ফোন করতে পারেন।

 

• অথবা এই মেল আইডি-তে মেল করতে পারেন – https://krishakbandhu.net/

আরও বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে জানতে নিচে থাকা অফিশিয়াল ওয়েবসাইট দেখুন (Official website) – https://krishakbandhu.net/users/sign_up